গত কয়েক বছরে, এডিসি হারুন তার সহিংস আচরণের মাধ্যমে ‘কীর্তি’র এক রেকর্ড গড়েছেন। ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, বিরোধী দলের সদস্যসহ যারা কোনো পাবলিক ইস্যু বা সরকারি নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন তাদের ওপর তিনি যেভাবে হামলা করেছেন তার বেশ কিছু রিপোর্ট গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিষয়টি বহুবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আনা হলেও কাজ হয়নি। গত বছর এক ঘটনায় তিনি এক সহকর্মী পুলিশ সদস্যকে চড় মেরেছিলেন, যার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তৎকালীন ডিএমপি কমিশনারের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হলে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, এডিসির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। চলতি বছরের মার্চে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (এসসিবিএ) নির্বাচন চলাকালে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর পুলিশের হামলার নেতৃত্ব দেন হারুন। ভুক্তভোগীদের একজন, এটিএন নিউজের একজন সিনিয়র রিপোর্টার বলেন, তিনি হারুনের হামলার বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
যাই হোক, এটি কৌতুহলোদ্দীপক যে তার ক্ষমতার অপব্যবহারের দিকে বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করার সমস্ত ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর, পুলিশ তখনই ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো যখন তিনি ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র শাখার দুই সদস্যকে লাঞ্ছিত করলেন। এ থেকে কি এই বোঝায় না যে রাজনৈতিক বিবেচনায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
এডিসি হারুন একাধিকবার নিয়ম ভঙ্গ করে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছেন, যা অনেক আগেই সুরাহা করা উচিত ছিল। আমরা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এডিসি হারুনের ক্ষেত্রে তারা যেভাবে পুলিশি অপকর্ম ও নৃশংসতার অভিযোগ করেছে, সেভাবেই তারা যেন পুলিশের অপকর্ম ও নৃশংসতার সব অভিযোগের প্রতি মনোযোগ দেয়। তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব দেশের নাগরিকদের প্রতি, ক্ষমতাসীন দলের প্রতি নয়।