হত্যা মামলা: সাবেক পুলিশের আইজিপি মামুন ৪ দিনের রিমান্ডে

শাহবাগ থানার হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দিয়েছেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক আইজিপিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল ইসলাম খান পুলক।

১৬ বছর বয়সী কিশোর মোহাম্মদ ইসমামুল হক হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপিকে রিমান্ডে নেওয়ার বিরোধিতা করে জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন।

আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন বলেন, “চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্পর্কে বলা হয়েছে এই মামলায় তিনি নির্দেশদাতা। এ মামলায় কারা কারা জড়িত এসব বিষয়ে তথ্য জানার জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। আমি আদালতকে বলব, তিনি কখনোই মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন না।

“মাঠ পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের কমিশনার, ডিসি, এডিসি তারা দায়িত্বে থাকেন। সুতরাং এ মামলার ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি তার রিমান্ড আবেদন বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করছি।”

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে হাকিম মো. সাইফুজ্জামান সাবেক আইজিপি মামুনকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সরকার পতনের দিন গত ৫ অগাস্টে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচি ছিল। মোহাম্মদ ইসমামুল হক (১৬) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মিনারের সামনে থেকে মিছিল বের করে করে চানখারপুল মোড়ে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা কিছু পুলিশ সদস্য ওই মিছিলে গুলি ছোড়ে। তখন ইসমামুল হকের পেটের গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় ইসমামুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমামুল মারা যায়।

এর আগে মোহম্মদপুরের দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় ৮ দিনের রিমান্ডে ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরো কয়েকটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।