‘আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরিশাল পুলিশ অফিসে যুক্ত করেছে। তবে কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে নয়।’
এরপর আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামকে ২০১৭ সালের ১ আগস্ট গৌরনদী থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আসামি ছেড়ে দেওয়াসহ নানাবিধ অভিযোগের ভিত্তিতে যোগদানের ৫ মাস ২৫ দিন পর চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি ওসি মনিরুলকে ক্লোজড করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার পালরদী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগকর্মী সাকির গোমস্তা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ফাহিমকে গ্রেফতারের পর ২১ নভেম্বর ২০১৭ দুপুরে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ অভিযোগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ওসি মনিরুলকে ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ রাতে গৌরনদী থানা থেকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামকে ২৬ জানুয়ারি রাতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। অন্য তিন ওসি আমার যোগদানের আগেই ক্লোজড হয়েছিলেন। তারা কী কারণে শাস্তি পেয়েছিলেন তা বলতে পারছি না।’
বরিশাল জেলা মানবাধিকার জোটের সভাপতি ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, একদিকে কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যেই তাদের ক্লোজড করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পরেই তারা অন্যখানে পদ পেয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এভাবে পুলিশ বাহিনীকে দুর্নীতিমুক্ত এবং জবাবদিহিমুখী করা যাবেনা। এজন্যে প্রয়োজন দ্রুত কঠোর বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
বরিশালের জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লোজ করা একটি শাস্তিমূলক বিভাগীয় ব্যবস্থার চলমান প্রক্রিয়া। মূলত তদন্ত কাজে নিরপেক্ষতার খাতিরেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপর তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেতন, প্রমোশন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বন্ধ-হ্রাস, চাকরিচ্যুতি বা বদলির মতো বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয়।
এছাড়া পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকলে সংশ্লিষ্ট দফতর বা ভিকটিমরা সবসময়েই আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।